নেত্রকোণা জেলা | বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য
নেত্রকোণা বাংলাদেশের
মধ্যাঞ্চলের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে নেত্রকোণা বাংলাদেশের একটি “এ”
শ্রেণীভুক্ত জেলা।
এই জেলার উত্তরে ভারতের
মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলা,
পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে
ময়মনসিংহ জেলা।
লোকশ্রুতি আছে যে,
নেত্রকোণা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মগরা নদীর বাঁকটি চোখের বা নেত্রের
কোণের মতো বলে এই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে “নেত্রকোণা”। তবে
ধারণা করা হয় যে, নেত্রকোণা শব্দটি “নাটোরকোণা” থেকেই হয়েছে।
১৯৮৪ সালের ১৭ জানুয়ারি নেত্রকোণা
মহকুমাকে জেলা ঘোষণা করা হয় এবং ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জেলা যাত্রা
শুরু করে।
এ জেলা সাদা মাটি, সিলিকা বালি,
বালিশ মিষ্টি, স্বাদু পানির মাছ (পাবদা), মহাশোল মাছ এর জন্য বিখ্যাত।
এ জেলায় উপজেলা এবং থানা আছে
১০টি এবং এগুলো হলো:
আটপাড়া,
কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, খালিয়াজুড়ি, দুর্গাপুর, নেত্রকোণা সদর, পূর্বধলা, বারহাট্টা, মদন এবং মোহনগঞ্জ।
এছাড়াও এ জেলায় ৫টি সংসদীয় আসন
রয়েছে।
নেত্রকোণা জেলায় ১টি
বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি মেডিকেল কলেজ এবং অনেকগুলো
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
নেত্রকোণা সরকারি কলেজ,
নেত্রকোণা সরকারি মহিলা কলেজ,
আবু আব্বাস ডিগ্রি কলেজ,
সহ আরো অনেক কলেজ যা এই ছোট
ভিডিওতে বলা অসম্ভব ।
নেত্রকোণা জেলায় অনেক প্রাচীন
স্থাপত্য থাকলেও অনেকগুলোই ধ্বংসপ্রাপ্ত। তবে এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হলো:
মদনপুরের হযরত শাহ্ সুলতান কমর
উদ্দিন রুমি(র) মাজার
শাহ্ সুখুল আম্বিয়া
মাজারের পাশে মোগল যুগের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ
পুকুরিয়ার ধ্বংসপ্রাপ্ত
দূর্গ
নেত্রকোণণার ধ্বংসপ্রাপ্ত
ইমারতের স্মৃতি চিহ্ন
দূর্পুর মাসকান্দা
গ্রামের সুলতানি যুগের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ
হযরত শাহ সুলতান কমরউদ্দিন
রুমি (র) মাজার শরীফ
উপজাতীয় কালচারাল একাডেমী
বিজয়পুরের চিনামাটির পাহাড়
কমলা রাণীর দিঘী;
কমরেড মণি সিংহ-এর স্মৃতি
বিজড়িত বাড়ি ও স্মৃতিস্তম্ভ
কুমুদীনি স্তম্ভ
ডিঙ্গাপোতা হাওর
চরহাইজদা হাওর
নিঝুম পার্ক
নারায়ণডহর জমিদার বাড়ি
বাঘবেড় জমিদার বাড়ি
সুসলরাজ
পূর্বধলার জমিদার বাড়ি ও পাগল
পন্থি
সাত পুকুর ও হাসানকুলী
খাঁর সমাধি
রোয়াইল বাড়ির প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন
সাদামাটির পাহাড়
টংক শহীদ স্মৃতি সৌধ
রোয়াইল বাড়ি দূর্গ
সুসং দূর্গাপুরের জমিদার বাড়ি
রানীখং মিশন
রাশমনি স্মৃতিসৌধ
ঐতিহাসিক সাত শহীদের মাজার
নেত্রকোণায় এত এত পরিচিত মুখ
আছে যে এগুলো এই ছোটো ভিডিওতে বলা সম্ভব নয়। তারপরও এ জেলার বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হলেন:
কাহ্নপাদ - চর্যাপদের
চুরাশিজন বৌদ্ধ মহাসিদ্ধদের একজন;
কুন্তল বিশ্বাস:রাজনীতিবিদ ও
সাংবাদিক।
শাহ সুলতান রুমী :-হযরত উপ
মহাদেশের প্রথম অথবা দ্বিতীয় ইসলাম প্রচারক খলিফা(নেতা)। তিনি 1053 খৃ: বাংলাদেশে আগমন করেন।
মনসুর বয়াতি -
পল্লিকবি ও গায়ক;
নরেশ রায়-
ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
নলিনীরঞ্জন সরকার - অবিভক্ত
ভারতবর্ষের মন্ত্রী, কলকাতার সাবেক মেয়র
ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ;
জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার -
ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব,
অগ্নিযুগের বিপ্লবী এবং অনুশীলন সমিতির অন্যতম শীর্ষনায়ক;
চন্দ্রকুমার দে - লেখক ও
লোকগল্প, লোকগীতি গবেষক ও সংগ্রাহক;
রশিদ উদ্দিন - প্রখ্যাত বাউল
শিল্পী ও সাধক;
জালাল উদ্দিন খাঁ - বিশিষ্ট
বাউল কবি ও গায়ক;
উকিল মুন্সী - বাউল
শিল্পী-সাধক;
কমরেড মণি সিংহ - প্রখ্যাত
বামপন্থী রাজনীতিবিদ;
আয়েশা খানম
– নারীনেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা
মনা সর্দার-
'হাতি খেদা' আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী।
রশিমনি হাজং - টঙ্ক
আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী নেত্রী;
কুমুদিনী হাজং - টংক
আন্দোলনের বিপ্লবী নেত্রী;
যাদুমনি হাজং - টঙ্ক
আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী কর্মী;
মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন
কাসিমপুরী - লোক সাহিত্য বিশারদ;
খালেকদাদ চৌধুরী - খ্যাতিমান
প্রাবন্ধিক, গল্পকার, নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক;
গোলাম সামদানী কোরায়শী -
বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সহিত্যিক, গবেষক ও
অনুবাদক;
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ
- প্রখ্যাত আইনবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এবং দু'বার
দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রপতি;
যতীন সরকার - প্রগতিবাদী
চিন্তাবিদ ও লেখক;
কর্নেল আবু তাহের - মুক্তিযোদ্ধা,
১১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার এবং বামপন্থী বিপ্লবী নেতা;
নির্মলেন্দু গুণ - প্রখ্যাত
কবি এবং চিত্রশিল্পী;
হেলাল হাফিজ - জনপ্রিয়
আধুনিক কবি;
মেহের আফরোজ শাওন
- অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, পরিচালক ও স্থপতি।
হুমায়ুন আহমেদ - জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক;
মলয় কুমার গাঙ্গুলি :কন্ঠ
শিল্পী।যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই।হাসান মতিউর রহমানের লেখার এই
গানের সুরকারও তিনি।
বারী সিদ্দিকী - সংগীত
শিল্পী, গীতিকার ও বাঁশি বাদক।
অখিল পাল - বাংলাদেশের খ্যাতিমান ভাস্কর শিল্পী।
আবু হায়দার রনি-
ক্রিকেটার
শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি
- অভিনেত্রী
ফেরদৌসী আহমেদ লিনা -
অভিনেত্রী
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি-
গায়িকা
মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী: সজ্ঞীত
শিল্পী।
শৈলজারঞ্জন মজুমদার
- একজন বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ, রবীন্দ্র সংগীত প্রশিক্ষক,
রবীন্দ্র সংগীতের স্বরলিপিকার এবং বিশ্বভারতীর রসায়ন বিজ্ঞানের
শিক্ষক।
কুদ্দুস বয়াতি- বাংলাদেশের
জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার এবং বাউল শিল্পী।
আবদুল হাননান খান
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুজীবুর রহমান খাঁ-
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
মোস্তাফা জব্বার-
প্রযুক্তিবিদ, সাংবাদিক ও মন্ত্রী।
আরিফ খান জয়-
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপ
মন্ত্রী।
আশরাফ আলী খান খসরু- সমাজকল্যাণ
প্রতিমন্ত্রী ।
লুৎফুজ্জামান বাবর,
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী ও বিতর্কিত রাজনৈতিক।
ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র
বৈশ্য:-একুশে পদক প্রাপ্ত ও সাঁতারু।
ওবায়দুল হাসান:-বিচারপতি।
মাহবুবুল ইসলাম :-বিচারপতি।
দেওয়ান নজরুল-
চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার এবং মুক্তিযোদ্ধা।
অপু উকিল-
বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক
শীলা আহমেদ-
অভিনেত্রী ও হুমায়ুন আহমেদের কন্যা
মাহবুব তালুকদার-
কবি ও শিশু সাহিত্যক, নির্বাচন কমিশনার।
হাফিজুর রহমান,
অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী
এম ইন্নাস আলী- পদার্থবিজ্ঞানী
ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা।
এছাড়াও এ জেলা থেকে বিভিন্ন
ধরনের দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
শেয়ার করুন নেত্রকোণা।
No comments